Hot Posts

6/recent/ticker-posts

পূজামণ্ডপে সংগীত পরিবেশন নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি

পূজামণ্ডপে সংগীত পরিবেশন নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি (জেলা প্রশাসক)। সাম্প্রতিক ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হলে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।


ডিসি বলেন, "আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং যারা এই বিতর্কের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।" 


সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পূজার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানায়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।

চট্টগ্রাম নগরের দুর্গাপূজার একটি মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রহমতগঞ্জের জে এম সেন হলে অনুষ্ঠিত ওই পূজামণ্ডপের মঞ্চে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য দুটি গান পরিবেশন করেন, যার একটি ছিল ইসলামি সংগীত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিতর্কের ঝড় ওঠে। 


চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনারকে রাতেই মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় নাচের অনুষ্ঠান চলাকালে কয়েকজন তরুণ এসে দেশাত্মবোধক গান গাওয়ার কথা বলে মঞ্চে উঠেন এবং দুটি গান পরিবেশন করেন। তাঁদের মধ্যে একটি গান ছিল 'শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম'। ভিডিওতে দেখা যায়, উপস্থিত কয়েকজন সেটি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। 


চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান জানান, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তাঁরা সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে গেছেন। সংগীতগুলো সম্প্রীতির গান ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তবে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, ভিডিওটি আসল এবং এডিট করা নয়।


এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম নগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, এবং শাহজাহান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি কোনো পূজামণ্ডপে যাননি।


ঘটনার পর জেলা প্রশাসক দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং পূজার পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

Post a Comment

0 Comments