Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। তাঁর ব্যতিক্রমী সাহিত্যকর্মের জন্যই তাঁকে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। 

বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মধ্যে পরিচিত হান কাংয়ের রচনা গভীর মানবিকতা, সমাজের জটিলতা এবং মানসিক আবেগের সূক্ষ্মতা তুলে ধরে। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস **"দ্য ভেজেটেরিয়ান"** ২০১6 সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার লাভ করে। হান কাং-এর লেখার ধরণে মানব মনের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মানুষের অস্তিত্বের গভীর প্রশ্নগুলো বিশেষভাবে ফুটে ওঠে।


নোবেল কমিটি তাঁর লেখার ভিন্নতা ও সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে, যা কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যকেই নয়, বিশ্বসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এনে দিয়েছে।



এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, হান কাংয়ের গদ্যশৈলী তীক্ষ্ণ ও কাব্যময়, যা ইতিহাসের যন্ত্রণাবিদ্ধ বিষয়ের মুখোমুখি হয়ে বোঝাপড়ার প্রচেষ্টা এবং মানবজীবনের ভঙ্গুরতাকে গভীরভাবে তুলে ধরে।

৫৩ বছর বয়সী হান কাং প্রথমে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাময়িকীতে কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত তাঁর ছোটগল্প সংকলনের মাধ্যমে গদ্য সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান।

পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘ গদ্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর অন্যতম প্রধান কাজ ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’, যা ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করে। এই উপন্যাসে হান কাং মানুষের নিষ্ঠুরতার প্রতি ভীত ও আতঙ্কিত এক নারীর 'গাছের মতো' বেঁচে থাকার লড়াই তুলে ধরেন।

হান কাং প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ান নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। নোবেল কমিটি তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রশংসা করে বলেছে, তাঁর লেখায় সহিংসতা, দুঃখ–কষ্ট এবং পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে, যা তাঁকে সীমানাবিহীন এক লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

‘দ্য ভেজেটারিয়ান’উপন্যাসটি ২০১৫ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেবোরাহ স্মিথ, এবং ২০১৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জনের পর হান কাংয়ের সাহিত্যজগতে বিশাল প্রভাব পড়ে। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে 'দ্য হোয়াইট বুক', 'হিউম্যান অ্যাক্টস', এবং 'গ্রিক লেসনস' উল্লেখযোগ্য।
নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব ম্যাটস মাম বলেন, "শরীর ও আত্মার যোগাযোগ নিয়ে হান কাংয়ের সচেতনতা অসাধারণ। তাঁর গদ্য কাব্যময় এবং নিরীক্ষামূলক, যা সমসাময়িক গদ্যসাহিত্যে তাঁকে একজন উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত করেছে।"

Post a Comment

0 Comments